ওয়াশিংটন, ২০ অক্টোবর- যোগাযোগ ব্যবস্থার উৎকর্ষতায় ট্রেনের অবদান অনস্বীকার্য। আঁকাবাঁকা লাইন ধরে ঘন বনাঞ্চল হয়ে ব্যস্ত নগরীর বুকের উপর দিয়ে ট্রেন এগিয়ে যায় বাধাহীন। এই ট্রেনের কথা আসতেই মানসপটে চলে আসে লোহালক্কর, রেললাইন, বগি ইত্যাদি বিষয়গুলো। কিন্তু কেউ কি কখনো কল্পনা করেছেন যে একটি ট্রেন চলবে অথচ ট্রেনের চাকা রেললাইন ছোঁবে না! আর কেউ ভাবুক বা না ভাবুক এই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছেন বাংলাদেশি এক বিজ্ঞানী, আতাউল করিম। আর ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে ঠিক কী করতে হবে তার রূপরেখাও তিনি দেখিয়েছেন। বিশ্বের সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর মধ্যে তিনি একজন।
ট্রেন চলার এই প্রচলিত ধারণার স্থানে এবার যোগ হচ্ছে আতাউল করিমের দেয়া নতুন ধারণা। চুম্বকশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনায়াসে চলবে ট্রেন। জার্মানি, চীন ও জাপানে ১৫০ মাইলের বেশি গতির ট্রেন আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে ওই ট্রেনগুলোতে প্রতি মাইল ট্রাক বা লাইনের জন্য গড়ে খরচ পড়ে ১১ কোটি ডলার। আর সেই জায়গায় আতাউল করিমের আবিষ্কৃত এ ট্রেনে খরচ হবে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ডলার। আর দেখতেও আকর্ষণীয় এ ট্রেনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি স্টার্ট নেয়ার পর আর লাইনকে স্পর্শ করবে না।
বাংলাদেশি এই বিজ্ঞানী এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার নরফোকের ওল্ড ড্যামিয়ান ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু গণমাধ্যমে আতাউল করিমের এই আবিস্কার নিয়ে নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। নিবন্ধে জানা যায়, ওল্ড ড্যামিয়ান ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বিগত ৭ বছর ধরে এ ধরনের একটি ট্রেন তৈরির গবেষণায় বিপুল অর্থ ব্যয় করেও কোনো সফলতা পাননি। ভাগ্যদেবী যেন আতাউল করিমের জন্যই অপেক্ষা করে ছিলেন। ২০০৪ সালে এই প্রকল্পটির দায়িত্ব ড. আতাউল করিমের হাতে আসার মাত্র দেড় বছরের মাথায় ট্রেনটির প্রোটোটাইপ তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি। পৃথিবীর নামকরা বিজ্ঞানীরা ট্রেনটিকে বারংবার পরীক্ষা করে দেখেছেন। শেষমেষ সবাই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন যে এখন এই ট্রেনটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ৩০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আতাউল করিম। উচ্চতর ডিগ্রির ধারাবাহিকতায় পদার্থ বিজ্ঞানে এমএস, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএস এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন অ্যালাবামা ইউনিভার্সিটি থেকে যথাক্রমে ১৯৭৮, ১৯৭৯ এবং ১৯৮১ সালে। পাশাপাশি তিনি পেশাগত জীবনও শুরু করেন। মেধা ও যোগ্যতার বলে বর্তমানে বিশ্বের মেধাসম্পন্ন ৫ হাজার গবেষক-ছাত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তত ৬০০টি অনুষদে। ড. করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ৬টি কলেজ, কমপক্ষে ২০টি গবেষণাকেন্দ্র, ৬শত শিক্ষক এবং ৫ হাজারের বেশি গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী।
ট্রেন চলার এই প্রচলিত ধারণার স্থানে এবার যোগ হচ্ছে আতাউল করিমের দেয়া নতুন ধারণা। চুম্বকশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনায়াসে চলবে ট্রেন। জার্মানি, চীন ও জাপানে ১৫০ মাইলের বেশি গতির ট্রেন আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে ওই ট্রেনগুলোতে প্রতি মাইল ট্রাক বা লাইনের জন্য গড়ে খরচ পড়ে ১১ কোটি ডলার। আর সেই জায়গায় আতাউল করিমের আবিষ্কৃত এ ট্রেনে খরচ হবে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ডলার। আর দেখতেও আকর্ষণীয় এ ট্রেনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি স্টার্ট নেয়ার পর আর লাইনকে স্পর্শ করবে না।
বাংলাদেশি এই বিজ্ঞানী এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার নরফোকের ওল্ড ড্যামিয়ান ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু গণমাধ্যমে আতাউল করিমের এই আবিস্কার নিয়ে নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। নিবন্ধে জানা যায়, ওল্ড ড্যামিয়ান ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বিগত ৭ বছর ধরে এ ধরনের একটি ট্রেন তৈরির গবেষণায় বিপুল অর্থ ব্যয় করেও কোনো সফলতা পাননি। ভাগ্যদেবী যেন আতাউল করিমের জন্যই অপেক্ষা করে ছিলেন। ২০০৪ সালে এই প্রকল্পটির দায়িত্ব ড. আতাউল করিমের হাতে আসার মাত্র দেড় বছরের মাথায় ট্রেনটির প্রোটোটাইপ তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি। পৃথিবীর নামকরা বিজ্ঞানীরা ট্রেনটিকে বারংবার পরীক্ষা করে দেখেছেন। শেষমেষ সবাই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন যে এখন এই ট্রেনটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ৩০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আতাউল করিম। উচ্চতর ডিগ্রির ধারাবাহিকতায় পদার্থ বিজ্ঞানে এমএস, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএস এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন অ্যালাবামা ইউনিভার্সিটি থেকে যথাক্রমে ১৯৭৮, ১৯৭৯ এবং ১৯৮১ সালে। পাশাপাশি তিনি পেশাগত জীবনও শুরু করেন। মেধা ও যোগ্যতার বলে বর্তমানে বিশ্বের মেধাসম্পন্ন ৫ হাজার গবেষক-ছাত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তত ৬০০টি অনুষদে। ড. করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ৬টি কলেজ, কমপক্ষে ২০টি গবেষণাকেন্দ্র, ৬শত শিক্ষক এবং ৫ হাজারের বেশি গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী।
0 comments:
Post a Comment